আগামী পহেলা কার্তিক, ১৬ অক্টোবর মহামতি বাউল ফকির লালন সাঁইয়ের
১২৩তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে আগামী ১৭ অক্টোবর হতে ৫ দিনব্যাপী
কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া লালন
আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে লালন স্মরণোত্সব।
অন্যান্যবার পহেলা কার্তিক হতে স্মরণোত্সব অনুষ্ঠিত হলেও এবার ঈদুল
আজহার কারণে একদিন পর অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর হতে উত্সব অনুষ্ঠিত হবে।
উত্সবকে ঘিরে লালন একাডেমির উদ্যোগে নানা প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে
অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রস্তুতি সভা। চলছে সাঁইজির ধামে সাজসজ্জা, দাওয়াতপত্র
তৈরি, লালন সংগীত রেওয়াজ ও স্মরণিকা প্রকাশের কাজকর্ম। এতে চরম ব্যস্ত
সময় কাটাচ্ছেন লালন একাডেমির সর্বস্তরের সদস্যবৃন্দ।
১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় উত্সব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনু। এবার লালন একাডেমির সামনে অবস্থিত মরাকালী নদীর
তীরে লালন মঞ্চে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে লালন সংগীত, প্রকৃত লালন
গবেষকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো বিশাল
আঙিনাজুড়ে লালন মেলাও চলবে।
তবে সরকারিভাবে ১৭ অক্টোবর হতে উত্সব উদ্বোধন হলেও লালন ভক্ত,
শিষ্যবৃন্দ পহেলা কার্তিকের কয়েকদিন আগেই এসে সমবেত হবেন ভবের হাটে।
দেশ-বিদেশের লালন ভক্তদের প্রয়োজন হয় না দাওয়াতপত্র। তাদের হূদয়ে
লেখা থাকে উত্সবের দিন-তারিখ।
ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়িতে সাঁইজির ধামে প্রতিবছর দুটি উত্সব উদযাপন হয়।
একটি মার্চ মাসে দোল উত্সব অপরটি পহেলা কার্তিক ১৬ অক্টোবর সাঁইজির
তিরোধান দিবস। দুটি উত্সবই ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ থেকে আসেন লালন ভক্ত শিষ্যবৃন্দ। পুরো আখড়াবাড়ি ভক্তদের
পদচারণায় মুখোরিত হয়।
উল্লেখ্য, ১১৬ বছর বয়সে বাংলা ১২৯৭ সনের পহেলা কার্তিক, ইংরেজি
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর ফকির লালন সাঁই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাঁইজির শিষ্যপরম্পরার বর্ণনানুযায়ী মর্মস্পর্শী মৃত্যুদৃশ্যের মধ্যদিয়ে তিনি
পরলোকে গমন করেছিলেন। ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়িতে শায়িত ফকির লালন
সাঁই কপালের চাদর সরিয়ে শিষ্যদের শেষবারের মতো দেখে বলেছিলেন,
'তোমাদের আমি শেষ গান শোনাব।' গান ধরেছিলেন—পার করো হে দয়াল
চাঁদ আমারে ক্ষম হে অপরাধ আমার এই ভব কারাগারে... নীরবতার মধ্যেই
গান থেমে গিয়েছিল। কাতর কণ্ঠ তুলে তিনি কেবল উচ্চারণ করেছিলেন,
'আমি আসি।' এই ছিল ভক্ত-শিষ্যদের সাথে সাঁইজির শেষ কথা।
১২৩তম তিরোধান দিবস। এ উপলক্ষে আগামী ১৭ অক্টোবর হতে ৫ দিনব্যাপী
কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া লালন
আখড়াবাড়িতে অনুষ্ঠিত হবে লালন স্মরণোত্সব।
অন্যান্যবার পহেলা কার্তিক হতে স্মরণোত্সব অনুষ্ঠিত হলেও এবার ঈদুল
আজহার কারণে একদিন পর অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর হতে উত্সব অনুষ্ঠিত হবে।
উত্সবকে ঘিরে লালন একাডেমির উদ্যোগে নানা প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে
অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রস্তুতি সভা। চলছে সাঁইজির ধামে সাজসজ্জা, দাওয়াতপত্র
তৈরি, লালন সংগীত রেওয়াজ ও স্মরণিকা প্রকাশের কাজকর্ম। এতে চরম ব্যস্ত
সময় কাটাচ্ছেন লালন একাডেমির সর্বস্তরের সদস্যবৃন্দ।
১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় উত্সব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনু। এবার লালন একাডেমির সামনে অবস্থিত মরাকালী নদীর
তীরে লালন মঞ্চে প্রতিদিন অনুষ্ঠিত হবে লালন সংগীত, প্রকৃত লালন
গবেষকদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা। এ ছাড়া প্রতিবারের মতো বিশাল
আঙিনাজুড়ে লালন মেলাও চলবে।
তবে সরকারিভাবে ১৭ অক্টোবর হতে উত্সব উদ্বোধন হলেও লালন ভক্ত,
শিষ্যবৃন্দ পহেলা কার্তিকের কয়েকদিন আগেই এসে সমবেত হবেন ভবের হাটে।
দেশ-বিদেশের লালন ভক্তদের প্রয়োজন হয় না দাওয়াতপত্র। তাদের হূদয়ে
লেখা থাকে উত্সবের দিন-তারিখ।
ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়িতে সাঁইজির ধামে প্রতিবছর দুটি উত্সব উদযাপন হয়।
একটি মার্চ মাসে দোল উত্সব অপরটি পহেলা কার্তিক ১৬ অক্টোবর সাঁইজির
তিরোধান দিবস। দুটি উত্সবই ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন
দেশ থেকে আসেন লালন ভক্ত শিষ্যবৃন্দ। পুরো আখড়াবাড়ি ভক্তদের
পদচারণায় মুখোরিত হয়।
উল্লেখ্য, ১১৬ বছর বয়সে বাংলা ১২৯৭ সনের পহেলা কার্তিক, ইংরেজি
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর ফকির লালন সাঁই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাঁইজির শিষ্যপরম্পরার বর্ণনানুযায়ী মর্মস্পর্শী মৃত্যুদৃশ্যের মধ্যদিয়ে তিনি
পরলোকে গমন করেছিলেন। ছেঁউড়িয়া আখড়াবাড়িতে শায়িত ফকির লালন
সাঁই কপালের চাদর সরিয়ে শিষ্যদের শেষবারের মতো দেখে বলেছিলেন,
'তোমাদের আমি শেষ গান শোনাব।' গান ধরেছিলেন—পার করো হে দয়াল
চাঁদ আমারে ক্ষম হে অপরাধ আমার এই ভব কারাগারে... নীরবতার মধ্যেই
গান থেমে গিয়েছিল। কাতর কণ্ঠ তুলে তিনি কেবল উচ্চারণ করেছিলেন,
'আমি আসি।' এই ছিল ভক্ত-শিষ্যদের সাথে সাঁইজির শেষ কথা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন